|
সংযোজনী II:
রাস্ট্রীয় অনুবাদ মিশনের প্রস্তাব
|
জয়তী ঘোষ-এর দ্বারা রাষ্ট্রীয় জ্ঞান আয়োগের কাছে জমাকৃত
(রাষ্ট্রীয় জ্ঞান আয়োগ অনুবাদ কর্মশালা, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০০৬, এর আলোচনা ও তত্পরবর্তী
সময়ে অংশগ্রহণকারী এবং অন্যান্যদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে রচিত)
|
ভারতে জ্ঞানের বিকাশের নানা ক্ষেত্রগুলিতে (সাহিত্য, বিজ্ঞান, কারিগরী, ব্যবসায়িক
ইত্যাদি) বিভিন্ন ধরনের অনুবাদের (মানবীয়, যন্ত্রসহায়ক, তাৎক্ষনিক ইত্যাদি) মানের
প্রসার এবং উন্নতিসাধনের আশু প্রয়োজন আছে। এই প্রক্রিয়া শুরুর এবং দেশে উচ্চমানের
অনুবাদের প্রসার ও ব্যাপ্তির সবচেয়ে ভাল পথ হতে পারে একটি রাষ্ট্রীয় অনুবাদ মিশন
তৈরি করা। এটি অবিলম্বে অনুবাদ ও অনুবাদকদের মধ্যেকার ফাঁকগুলি চিহ্নিত করা, উচ্চমানের
অনুবাদের প্রসার, প্রশিক্ষন, এবং তথ্যের ব্যাপ্তির মত কাজগুলি শুরু করতে পারবে এবং
একইসাথে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির চালু প্রকল্পগুলির মধ্যে সমন্বয় করবে। এই ভাবনাটির
উদ্দেশ্য অন্যান্য সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাগুলির কাজের নকল বা অগ্রাহ্য করা নয়,
বরং তাদের কাজের অগ্রাধিকার যাচাই করা, মানোন্নতি করা এবং সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য
করা।
ভারতীয় উপমহাদেশে কাজ হিসাবে বহুদিন ধরেই বিভিন্ন ভাষাজুটির মধ্যে অনুবাদ হয়ে আসছে।
ভাবাবেগ হিসাবে অনুবাদকার্যে বহু উচ্চমেধাকে ভারতে ও বিদেশে নানান ভাষায় কাজ করতে
দেখা গেছে। পেশা হিসাবে অনুবাদ খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং অধুনা এই কাজ আরও আকর্ষনীয় হয়ে
উঠেছে। গবেষনার ক্ষেত্র হিসাবে অনুবাদশাস্ত্রে ভাষাবিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, সেমিওটিক্স,
লেক্সিকোলজি, পুরাতত্ত্ব, কম্পিউটার সায়েন্স এবং অন্যান্য নানা বিষয়ের থেকে চিন্তার
সমাবেশ ঘটছে। কিন্তু নানা ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতির মধ্যে এই বিষয়টির ব্যাপ্তির কথা
চিন্তা করলে বলা যায় যে এই ক্ষেত্রটিতে এখনও এর নানান কাজের মধ্যেকার সমন্বয়ের অভাব
আছে।
একটি বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক, এবং জ্ঞানের একটি অতি পুরাতন কেন্দ্র হিসাবে ভারত বহু
শতাব্দি ধরেই অনুবাদের ক্ষেত্রে অগ্রণী স্থানে আছে। বহু ভাষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান
এই দেশ সাহিত্যানুবাদ এবং যন্ত্রানুবাদ, উভয়ের জন্যই এক উৎপাদনশীল পরীক্ষাগার হিসাবে
আদর্শ। এটা প্রত্যাশিত যে প্রস্তাবিত রাস্ট্রীয় অনুবাদ মিশন (এনটিএম) বহুদিনের একটি
চাহিদা পূরণ করবে যা অনেকগুলি ক্ষেত্রের প্রয়োজন মেটাবে: শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ভাষা-প্রযুক্তিবিদ,
ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, সংবাদপত্র সংস্থা ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যম, সৃষ্টিশীল লেখক, পাঠক,
যারা তুলনামূলক অধ্যয়নের সাথে যুক্ত এবং অনুবাদ তাত্ত্বিকরা।
এনটিএম-এর অভিলক্ষ্যগুলি নিম্নরূপ:
|
1.
|
ভারতীয় ভাষাসংক্রান্ত অনুবাদের একটি ভান্ডার হিসাবে কাজ করা। অনুবাদের বিভিন্ন দিক
সম্পর্কে তথ্য সুপ্রাপ্য করে তোলা -- প্রকাশিত অনুবাদের সৃষ্টি, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়মিত
আপডেট করা, প্রশিক্ষণ অনুসূচি তৈরি, অনুবাদ টুলস ও সরঞ্জাম, এবং ‘রাষ্ট্রীয় অনুবাদক
পঞ্জী’র মতো নতুন উদ্যোগ ও সুযোগ তৈরি করা।
|
2.
|
যত বেশি সম্ভব ভারতীয় ভাষায়, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় অনুবাদেরই বিশুদ্ধতা-গৃহ
হিসাবে কাজ করা;
|
3.
|
ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ ও অনুবাদ-সংক্রান্ত কাজে অন্যান্য এজেন্সি এবং সংস্থার সাথে
যোগসূত্র তৈরি করে দেওয়া;
|
4.
|
উচ্চমানের অনুবাদের মাধ্যমে পৃথিবীর এই অংশের ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্যকে বহির্বিশ্বের
কাছে উপস্থিত করে;
|
5.
|
অনুবাদের জন্য নানান টুলস তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, বিশেষ করে দ্বিভাষিক ও বহুভাষিক
দ্বিমুখী অথচ বিশেষ-উদ্দেশ্যমূলক অনুবাদ অভিধান, শব্দ-সন্ধানী, এবং শব্দকোষ তৈরি; এবং
|
6.
|
এই বিষয়ে উত্সাহী ব্যক্তি ও সংস্থার সুবিধার জন্য যৌথভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে অনুবাদতত্ত্বের
উপর মুদ্রিত ও ভার্চুয়াল প্রকাশনের জগতে প্রবেশ করতে হবে।
|
7.
|
উত্সাহী ব্যাক্তিদের প্রশ্নোত্তর ও আলোচনার জন্য বুলেটিন বোর্ডের মাধমে একটি ফোরাম
তৈরি করতে হবে।
|
8.
|
অনুবাদের পদ্ধতিগত পরামর্শ দেওয়া এবং অনুবাদতত্ত্ব সংক্রান্ত শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ
দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া।
|
প্রস্তাবিত রাষ্ট্রীয় অনুবাদ মিশনের মূল কার্যবিধি
অনুবাদকের শিক্ষা
যদিও অনুবাদের জন্য দ্বিভাষিকতা একটি প্রয়োজনীয় শর্ত,এই বিশেষ কাজটির জন্য কিছু বিশেষ
জ্ঞান থাকা আবশ্যকীয়।এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অনুবাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পারদর্শিকতার
প্রয়োজন।যেমন,বৈজ্ঞানিক বা প্রযুক্তিগত কাজের জন্য যে পারদর্শিকতার দরকার তা সাহিত্যিক
অুনবাদের থেকে একেবারেই আলাদা।আবার, দ্বিভাষিকতার দক্ষতা অপেক্ষাকৃত ভাবে কম উন্নত
প্রচারমাধ্যমের (দূরর্দশন বা বেতার) তুলনায়।
NTM-এর মূল কাজ কর্ম হল:
|
|
»
|
স্বল্প দৈর্ঘ্যের প্রশিক্ষণ কার্যসূচী
|
|
»
|
অনুবাদকদের জন্য পাঠ্যক্রমের প্যাকেজ সৃষ্টি করা যা সমস্ত দেশেই ভাষা শিক্ষণ কার্যসূচীর
অংশ হতে পারে।
|
|
»
|
গবেষণা বৃত্তির সূচনা।এই কর্মসূচীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষার্থী বিনিময়ের
ব্যবস্থা থাকবে।এই ক্ষেত্রে ভারতীয় ভাষায় অনুবাদের ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে ইংরাজীতে
অনুবাদ করার থেকে।
|
|
»
|
গবেষণা প্রকল্পে উত্সাহিত করা,যাতে চিহ্ণিত পুস্তকগুলির উন্নত মানের অনুবাদ শিক্ষা
কার্য্যে ব্যবহার করা যায়।
|
তথ্য সম্প্রচার
যেহেতু অনুবাদ বর্তমানে প্রধান বা জনপ্রিয় কার্যবিধি নয় সেহেতু অনুবাদ সম্বন্ধীয়
তথ্য পাঠক বা সর্বসাধারনের কাছে অপর্যাপ্ত।যেমন কোন বিশেষ আণ্ঞ্চলিক ভাষার ভালো অনুবাদকদের
সম্বন্ধে প্রকাশকেরা সম্পূর্ণ ভাবে অজ্ঞ।কেন্দ্রীয় ভাষা সংস্থান প্রতি বছর এর সাতটি
আণ্ঞ্চলিক ভাষা কেন্দ্রের ২০টি ভারতীয় ভাষায় ৪০০জন শিক্ষক, যারা একটি ভারতীয় ভাষায়
পারদর্শী, তাদের অন্য ভারতীয় ভাষা শেখায়।এটি একটি খুবই প্রয়েজনীয় অথচ দুর্লভ দক্ষতা।বর্তমানে
এই শিক্ষণ প্রাপ্ত লোকগুলির (১১,০০০) খবর সকলে জানেনা।বহু ভাষায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর
ইতি মধ্যেই অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যদিও বৃহত্তর পাঠক গোষ্ঠীর এ সম্বন্ধে অবগত নয়।
সুতরাং, এক্ষেত্রে NTM র কার্যাবলী নিম্নরূপ হবে
|
|
»
|
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন যোগ্যতা ও পারদর্শিতা সম্পন্ন অনুবাদকদের একটি তথ্য ভাণ্ডার
তৈরী করা৷ এই ভাণ্ডার অনলাইন উপলব্ধ হবে অথবা বিশেষ প্রয়োজনীয়তা নিয়ে NTM-এর সাথে
যোগাযোগ করলেও উপলব্ধ হবে৷
|
|
»
|
টীকা সহযোগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপলব্ধ বিভিন্ন বিষয় ও ক্ষেত্রের ওপর উপলব্ধ অনুবাদের
একটি সম্পূর্ণ তালিকা ও তথ্য ভাণ্ডার নির্মাণ এবং সাম্প্রতিকতম তালিকাগুলি শিক্ষায়তন
বা লাইব্রেরী নেটওয়ার্কগুলিতে নিয়মিত ভাবে পাঠানো
|
উন্নতমানের অনুবাদ পৃষ্ঠপোষকতা ও সম্প্রচার
এটা বলা যেতেই পারে যে যদি বিভিন্ন প্রকার অনুবাদ সামগ্রীর চাহিদা থাকে, তাহলে অবশ্যই
তা বাজারে উপলব্ধ হবে কিন্তু, এই সম্ভাবনার বিষয়ে উপযুক্ত জ্ঞানের অভাব এই চাহিদা
মেটানোর প্রধান অন্তরায়৷ অন্যান্য ক্ষেত্রের মত, এই পরিপ্রেক্ষিতেও এ কথা সত্যি যে
এই বিশাল জ্ঞানের প্রকৃত খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত এর অভাবটা সঠিকভাবে অনুধাবন করা যাবে
না এছাড়াও, সাহিত্যিক অনুবাদের সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির (যেমন এন.বি.টি বা গ্রন্থ
আকাদেমী) বক্তব্যে সমূদিত পুস্তকগুলির বিরাট চাহিদাই প্রমাণিত হয়৷
এই পরিপ্রেক্ষিতে, এটা মনে রাখার দরকার যে একমুখীনভাবে ইংরাজী থেকে ভারতীয় ভাষায়
অনুবাদ করলেই শুধু হবে না, বরং ভারতীয় ভাষায় উপলব্ধ জ্ঞান-আধেয় গুলি বিভিন্ন ভারতীয়
ভাষা ও ইংরাজীতে সম্প্রচারের দরকার আছে৷ বিশেষ করে, অনুবাদ পরম্পরাকে সমান্তরাল সৃজনশীলতারূপে
উত্সাহ প্রদান করা উচিত৷ এই ক্ষেত্রে, বিভিন্ন দাতা-গ্রহীতা ভাষা জুটির মধ্যে কোন বিভেদ
বৈষম্য সৃষ্টি না করে অনুভূমিক উত্কর্ষতা, বহুভাষিকতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের পৃষ্ঠপোষকতাই
কাম্য৷ ইতিমধ্যেই, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম অনুবাদের প্রচলন হয়েছে (যেমন ড. আম্বেদকরের
বিভিন্ন কাজ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে) যা বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন বা নব্যশিক্ষিত
গোষ্ঠীগুলির চাহিদার প্রতিফলন৷
সাহিত্যিক অনুবাদ ছাড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অবশ্য পরিভাষার এবং ধ্যান-ধারণার
মান নিশ্চিত করাই ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে চলাচল এবং উপলব্ধির প্রধান সহায়ক হবে৷ এটাও মনে
রাখার দরকার আছে যে অনুবাদ এখনও সামাজিক প্রতিষ্ঠা এবং পারিতোষিকের ক্ষেত্রে সন্তোষজনক
পেশা নয়৷ এই পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজনীয় এবং এই প্রসঙ্গে, এটাও মনে রাখা দরকার
যে অনুবাদ যেমন একাধারে একটি ব্যক্তিগত কার্যবিধি, অন্যদিকে এটি একটি সামাজিক উদ্যোগও
বটে৷ তাই এই ক্ষেত্রে সফলতা আনার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে ব্যক্তিগত ও পারস্পরিক সহযোগিতা
অবশ্য কাম্য৷
সেই ক্ষেত্রে, NTM-এর কার্যবিধি নিম্নরূপ হবে:
|
|
»
|
গ্রন্থ উদ্বোধন মেলা, অনুদান, পুরস্কার বিতরণের মত বিভিন্ন গতিবিধির মধ্যে দিয়ে উন্নত
মানের অনুবাদের প্রসার
|
|
»
|
যৌথ অনুবাদ প্রকল্প বা দীর্ঘ স্থায়ী অনুবাদ প্রকল্প অনুবাদকের জন্য ওয়ার্কশপ (যেখানে
মতামত আদান-প্রদানের সুবিধা হবে) ইত্যাদিকে উত্সাহ দেওয়া
|
|
»
|
প্রকাশকদের সাথে পুনঃক্রয়ের ব্যবস্থা করা এবং লাইব্রেরী নেটওয়ার্ক-এর সাথে সংযোগ
স্থাপন করা অনুবাদের মান নিশ্চিতকরণের জন্য
|
|
»
|
সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করে অনূদিত সামগ্রীর প্রযোজক,
প্রকাশক ও ক্রেতাদের মধ্যে একটি যোগসূত্রে স্থাপন করা
|
|
»
|
সাময়িকী এবং অন্যান্য দরকারী বিষয়ের ওপর প্রকাশিত পত্রিকাগুলির (যেমন নিউ সায়েন্টিস্ট,
ইকনমিক এন্ড পলিটিক্যাল উইকলি ইত্যাদি) আঞ্চলিক ভাষায় বিস্তারিত প্রচারের জন্য সেগুলির
প্রাথমিক অনুবাদের জন্য প্রদান করা
|
|
»
|
স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে, বিশেষতঃ সর্বস্তরের সাহিত্য পাঠক্রমে অনূদিত
তথ্যসামগ্রীর অন্তর্ভুক্তীকরণের প্রস্তাবনা
|
|
»
|
সমস্ত স্কুল-কলেজ ভাষাকেন্দ্র স্থাপনার এবং সমস্ত স্কুলে গ্রন্থকেন্দ্র (অনুবাদের সাথে
যুক্ত) স্থাপনার প্রস্তাবনা
|
|
»
|
দ্বি-ভাষিকতার ওপর জোর দেওয়া, বর্তমানে চালু কর্ম জনপ্রিয় কার্যপ্রণালীর (যেমন কর্ণাটক
পুলিশী পদাধিকারী পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক অনুবাদ অংশ) প্রচার
|
|
»
|
সার্বজনীক ও অসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলির (রাষ্ট্রীয় সর্বশিক্ষা অভিযান ও ভারতজ্ঞান বিজ্ঞান
সমিতি) সহযোগিতায় ছোট ছোট শহর ও গ্রামের পাঠকবর্গের কাছে অনূদিত তথ্যসামগ্রীর সহজ
অভিগম্যতার নিশ্চিতকরণ
|
যান্ত্রিক অনুবাদের পৃষ্ঠপোষকতা
বর্তমান ও নতুন প্রযুক্তিতে তুলনামূলকভাবে কম খরচাতে বৃহত্ পরিমাণের অনুবাদ অনেক দ্রুত
সম্পন্ন করার জন্য বহু নতুন সুবিধা উপলব্ধ আছে, যদিও এ প্রসঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন
ও মানব সম্পদ সম্পর্কিত বিষয়গুলিও চিন্তনীয়৷ NTM যান্ত্রিক অনুবাদের পৃষ্ঠপোষকতা
ও উন্নয়নের জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি গ্রহণ করতে পারে:
|
|
»
|
সক্ষম ও উন্নত অনুবাদের জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত পরিকাঠামো, বিশেষতঃ ডিজিটাল টুলস্
যেমন থেসরাস, দ্বিভাষিক অভিধান, অনুবাদ মেমরির সফটওয়্যার ইত্যাদি সৃজনের নিশ্চিতকরণ
|
|
»
|
শব্দকোষীয় সম্পদ যেমন ই-অভিধান, শব্দকোষ, ওয়ার্ড নেট, ভাষা বিশ্লেষণ ও সংশ্লেষণ অনুসঙ্গ,
বর্ণানুক্রমিক সূচী, পৌনঃপুনিকতা বিশ্লেষণকারী অনুসঙ্গ ইত্যাদি যান্ত্রিক অনুবাদের
অত্যাবশ্যকীয় সহায়তাকারী উপাদান৷ এর কোনটাই একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সৃষ্টি
করা বা রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব নয়৷ এর জন্য দরকার দীর্ঘসময়ব্যাপী বহু-প্রাতিষ্ঠানিক
সহযোগিতার৷ NTM অবিরাম মত বিনিময় এবং অনলাইন আলোচনার মাধ্যমে দলগত কাজের পরিবেশ প্রদান
করতে পারে৷
|
|
»
|
যতদূর সম্ভব মূল ও অনুবাদ পাঠের ডিজিটাল রূপায়ণ করা প্রয়োজনীয়৷ এই সম্পর্কিত গ্রন্থস্বত্ত্বের
বিষয়গুলি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব NTM-এর৷ এই বিশাল পরিমাণ ডিজিটাল সম্পদের XML ট্যাগ
ও DTD এর সহযোগে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা NTM-এর দায়িত্ব৷
|
|
»
|
উন্নতমানের টীকা ও মতামত সহযোগে সমান্তরাল শব্দ সংগ্রহ সৃষ্টি করা বর্তমানের আন্তর্জাতিক
প্রবণতা লক্ষ্যণীয়৷ এই ধরনের শব্দসংগ্রহগুলি যন্ত্রানুবাদ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয়৷
এই বিপুল পরিমাণ তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াসের জন্য যে প্রাথমিক বিনিয়োগের দরকার
তা সবসময় স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষে করে ওঠা সম্ভব হয় না৷ এই ক্ষেত্রে, NTM সাহায্য
ও সহযোগিতা প্রদান করার চেষ্টা করবে৷
|
|
»
|
১৯৯৬ সালে ১৫টি রাষ্ট্রের সহযোগে রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে আরম্ভ হওয়া ‘সার্বজনীন নেটওয়ার্কিং
ভাষা’ (UNL)এর মত কোন ইন্টার লিঙ্গুয়া আধারিত পথের পৃষ্ঠপোষকতা করা৷ [ইংরাজী ও ভারতীয়
ভাষায় যান্ত্রিক অনুবাদের জন্য] IIT মুম্বাই ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদ্ধতি এবং সূত্র উদ্ভব
করেছে যার সার্বজনীক ব্যবহারও সম্ভব৷
|
|
|