|
চালু উদ্যোগ
|
যোজনা আয়োগ আগেই ‘অনুকৃতি’ নামে অনুবাদের ক্ষেত্রে একটি বৃহত্তর প্রকল্প কেন্দ্রীয়
ভাষা সংস্হান (CIIL),মাইসোর-কে প্রদান করেছিল৷ অনুকৃতি:ট্রান্সলেটিং ইন্ডিয়া নামক একটি
অনুবাদক ওয়েবসাইট তৈরী করা হয়েছিল,যেটি প্রত্যেকটি ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ সর্ম্পকিত তথ্য
ও সহায়তা অর্জনের সাইট হিসাবে কার্যকরী হয়৷এই ধরনের ওয়েবসাইটটি তৈরী করার কথা ভারতীয়
ভাষার উন্নয়ণকার্যে নিয়োজিত তিনটি সংস্থান যেমন কেন্দ্রীয় ভাষা সংস্থান(MHRD), মাইসোর,
সাহিত্য একাদেমি এবং ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট,নয়া দিল্লী ভেবেছিল৷
|
দশম পরিকল্পনা কাল যাবত্ এই প্রকল্পটির জন্য ৫৯.৬৪ লক্ষ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছিল৷পরিকল্পনা
অনুযায়ী, ‘অনুকৃতি’ প্রকল্পটির অধীনে নিম্নলিখিত কাজগুলি করা হয়েছে:
|
|
»
|
অনুবাদ সৌকর্য্য সাধন ওয়েবসাইট www.anukriti.net উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ধারাবাহিক
ভাবে এটিকে আধুনিকীকরণ ও নথিভুক্ত করা হয়েছে৷
|
|
»
|
তিন বছর ধরে ট্রান্সলেশন ট্যুডে নামক অনুবাদ সম্পর্কিত সাময়িক পত্রিকা প্রকাশ করা হয়েছে৷
|
|
»
|
অনুবাদ বিষয়ক ডেটাবেস এবং ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রার অফ ট্রান্সলেটারস্ নিয়মিত ভাবে আধুনিকীকরণ
করা হচ্ছে৷
|
|
»
|
ইংরাজী-কানাড়া যন্ত্র-সাহায্যিত অনুবাদ প্যাকেজ তৈরী করার জন্য প্রাথমিক কাজ করা হয়েছে৷
|
|
»
|
বড় বড় প্রকাশনী সংস্থাগুলি থেকে প্রাপ্ত অনুবাদ প্রকাশনীর তালিকা এই সাইটটিতে দেওয়া
হয়েছে৷
|
|
»
|
দেশ-বিদেশের অনুবাদের ওপর বিভিন্ন পাঠ্যক্রমের সবিস্তার বিবরণ এই সাইটিতে উপলব্ধ আছে৷
|
|
»
|
বিভিন্ন পেশাগত অনুবাদ সংস্থানগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে৷
|
|
»
|
অনলাইন অনুবাদকদের সাহায্যের জন্য যে ট্রান্সলেশন সফট্ওয়ারগুলি রয়েছে সেগুলি ক্রয় করার
জন্য কিছু অনলাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে৷
|
|
»
|
অনুবাদ শাখার সাথে জড়িত পরিভাষার শব্দকোষ ও গ্রন্থবিবরণীর সঙ্কলন শেষ হওয়ার পর্যায়৷
|
|
NCERT দ্বাদশ শ্রেণী অবধি পাঠ্যপুস্তকগুলিকে হিন্দী এবং উর্দুতে অনুবাদ করার কাজ সম্পন্ন
করেছে৷অষ্টম অনুসূচিতে অন্তর্ভুক্ত য়ে ২২ টি ভাষা আছে সেগুলিতে NCERT প্রথমবার রাষ্ট্রীয়
কারিক্যুলম ফ্রেমওয়ার্ককে (NCF) অনুবাদ করেছে৷NTM, এইগুলিকে প্রত্যেকটি অনুসূচিত ভারতীয়
ভাষায় অনুবাদ করার জন্য সাহায্য করতে পারে৷
|
|
ভারতের বিভিন্ন ভাষা, অঞ্চল এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার জন্য দুটি সার্ব্বজনিক
সংস্থা-সাহিত্য আকাদেমী (স্থাপিত ১৯৫৪) এবং ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট (স্থাপিত ১৯৫৭) প্রথম
অনুবাদ প্রকাশ করে৷
শুরু থেকেই সাহিত্য আকাদেমী বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা থেকে সাহিত্য সন্বন্ধীয় পুস্তকের
অনুবাদ এবং ইংরাজি থেকে অন্য আন্ঞ্চলিক ভাষায় এবং অন্য আন্ঞ্চলিক ভাষা থেকে ইংরাজি
ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করে চলেছে৷এটি চব্বিশটি ভাষায় ৭০০০টি বই প্রকাশ করেছে৷মৌলিকভাবে
শুধুমাত্র আকাদেমী স্বীকৃত ভাষাগুলি থেকেই অনুবাদ করা হত, কিন্তু একটি বিশেষ আদিবাসী
সাহিত্য প্রকল্পের (যেটি পূর্বে বরদাতে এবং বর্তমানে শিলংএ অবস্থিত) মাধ্যমে সংস্থাটি
এখন বিভিন্ন আদিবাসী ভাষায় এবং উপভাষায় যেমন গাড়ওয়ালী, ভিলি, কুই, গারো, গামিত, মিজো,
লেপচা, পাহাড়ী, মুন্ডারী, গন্ডী ইত্যাদি ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করেছে৷সংস্থাটির প্রধান
অবদান আন্তর্ভাষিক অনুবাদের ক্ষেত্রে৷
ন্যাশানাল বুক ট্রাস্টের একটি ‘আদান-প্রদান’ সিরিজ আছে যেটি অষ্টম অনুসূচিতে অন্তর্গত
ভাযাগুলিতে রচিত সমকালীন সাহিত্যগুলিকে ইংরাজি এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাযায় অনুবাদ করে৷ট্রাস্টের
কাজ শুধুমাত্র সাহিত্যের চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,এটি নাগরিক অধিকার, স্বাস্থ্য,
পরিবেশ, কলা, স্থাপত্যশিল্প, রাষ্ট্রবিঞ্জান, ইতিহাস, ইত্যাদি সম্বন্ধীয় ঞ্জানসম্পন্ন
পুস্তক এবং বিভিন্ন পেশায় যুক্ত প্রখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী ও প্রকাশ করে৷
আশির দশকের পরে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি আন্তর্জাতিক প্রকাশনী সংস্থাগুলিকে
প্রলুব্ধ করে এবং তারা ভারতে প্রকাশনীর কাজ শুরু করে, তত্সত্ত্বেও ভারতে ইংরাজি প্রকাশনীর
আশি শতাংশ কাজ শিক্ষামূলক প্রকাশনীতে হয়৷প্রকাশনী ব্যবসাটি আরো পেশাগত রুপ ধারণ করছে,
সম্পাদনার মান আরও উচ্চতর হচ্ছে, এবং কেন্দ্রীভূত বাজার তৈরী হচ্ছে৷একদিকে যেমন পিয়ারসন
এডুকেশন, রেনডাম হাউস (Random House), সেজ, ম্যাকগ্র হিল (McGraw Hill) ইত্যাদি সংস্থাগুলি
বিস্তৃতভাবে শিক্ষামূলক ক্ষেত্রে কাজ করছে তেমনি অন্যদিকে ওরিয়েন্ট লঙম্যান (দিশা সিরিজ),
ম্যাকমিলান(মডার্ণ নভেলস্ ইন ইংলিশ ট্রান্সলেশন সিরিজ), পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া, অক্সফোর্ড
উনিভার্সিটি প্রেস, রুপা এন্ড কোং, হার্পার-কলিনস্ ইত্যাদি প্রকাশক সংস্থাগুলি অনুবাদে
বিশেষ গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে৷আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল অনুবাদের কাজে বিশেষভাবে
নিয়োগিত সংস্থার উদ্ভব যেমন ‘কথা’৷ ‘স্ত্রী’, ‘জুবান’, ‘রোলি’, ‘ওমেন আনলিমিটেড’ ইত্যাদি
ছোট ছোট প্রকাশক সংস্থাগুলিও অনুবাদের কাজে আগ্রহ প্রকাশ করছে৷
ইংরাজিতে সাহিত্যিক অনুবাদের ছবিটা কিছুটা উজ্জ্বল হলেও যখন আমরা অন্য শ্রেণীর বই এর
ইংরাজিতে অনুবাদ ও ইংরাজি এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষা থেকে অন্য ভারতীয় ভাষায় অনুবাদের
ছবিটা দেখি তখন সেটি খুব একটা উজ্জ্বল মনে হয় না৷ভারতীয় ভাষাগুলির মধ্যে অনুবাদের ছবিটা
খুবই অসমান-উদাহরণস্বরুপ : যেখানে ২৬০টি বাংলা বই মালায়ালাম ভাষায় রয়েছে সেখানে মাত্র
১২টি বই মালায়ালাম থেকে বাংলা ভাযায় অনুবাদিত হয়েছে৷এই অসামান্ঞ্জস্যতার একটি প্রধান
কারণ হল ভাষাগুলির মুক্ত বা বদ্ধ প্রকৃতি ছাড়া, কিছু ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদকদের
অনুপস্থিতি৷যদিও বেশিরভাগ ভাষার ক্ষেত্রে ইংরাজি থেকে আধুনিক ভারতীয় ভাষাতে এবং হিন্দীতে
অনুবাদকারী পাওয়া যায়, অন্য ভাষা জোড়ের ক্ষেত্রে যেমন তামিল এবং মারাঠী, মালায়ালাম
এবং গুজরাতী ইত্যাদিতে অনুবাদক পাওয়া যায় না৷
|
|
বর্তমানে শুধুমাত্র কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুবাদের উপর প্রচলিত পাঠ্যক্রম প্রদান করে৷বর্তমানে
নিম্নলিখিত পাঠ্যক্রমগুলি প্রাপ্ত:
|
1.
|
আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়:
|
|
|
ক)
|
অনুবাদ শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিপলোমা
|
|
খ)
|
প্রায়গিক ভাষাতত্ত্ব এবং অনুবাদ শাস্ত্রে স্নাকোত্তর
|
|
গ)
|
অনুবাদ শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর
|
|
ঘ)
|
ভাষাতত্ত্বে Ph.D. (অনুবাদ শাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত)
|
|
ঙ)
|
অনুবাদ শাস্ত্রে M.Phil
|
2.
|
আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয়, কে.এম ইনস্টিটুট: অনুবাদ শাস্ত্রে ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম
|
3.
|
হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়: অনুবাদ শাস্ত্রে M.Phil
|
4.
|
পন্ডিত রবিশঙ্কর শুক্লা বিশ্ববিদ্যালয়: অনুবাদ শাস্ত্রে সার্টিফিকেট পাঠ্যক্রম
|
5.
|
স্বামী রামানন্দ তীর্থ মারাঠওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়: অনুবাদ শাস্ত্রে সার্টিফিকেট পাঠ্যক্রম
|
6.
|
পুনে বিশ্ববিদ্যালয়: অনুবাদ শাস্ত্রে সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম
|
7.
|
হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় (Centre for Distance Education): অনুবাদ শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর
ডিপ্লোমা(PGDTS)
|
8.
|
হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় (হিন্দী বিভাগ):
|
|
ক)
|
অনুবাদ শাস্ত্রে ডিপ্লোমা
|
|
খ)
|
পেশাগত অনুবাদ শাস্ত্রে এডভান্সড ডিপ্লোমা
|
|
গ)
|
অনুবাদ শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা
|
9.
|
হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় (CALTS): অনুবাদ শাস্ত্রে M.Phil. এবং Ph. D.
|
10.
|
CIEFL (এখন EFLU), হায়দ্রাবাদ (The Centre for Translation Studies (CTS)): অনুবাদ
শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা
|
11.
|
কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়: অনুবাদ শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর উপাধী
|
12.
|
মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয়: অনুবাদ শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম
|
13.
|
তামিল বিশ্ববিদ্যালয়, থানজাভুর: অনুবাদ শাস্ত্রে ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম
|
14.
|
বিশ্ব-ভারতী: ফলিত হিন্দীতে (অনুবাদ) স্নাতকোত্তর উপাধী
|
এগুলি ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের (যেমন কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুরাটের
বীর নর্মদ দক্ষিণ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়) তুলনামূলক সাহিত্যের বিভাগ গুলিও অনুবাদ শাস্ত্রে
পাঠ্যক্রম প্রদান করে৷কিছু বেসরকারি সংস্থান ও অনুবাদশাস্ত্রে বিভিন্ন পাঠ্যক্রম প্রদান
করে-যেমন বেঙ্গালোরের ইন্সটিট্যুট অফ ট্রান্সলেশন স্টাডিজ (Regd.) অনুবাদ শাস্ত্রে
ডিপ্লোমা প্রদান করে৷বর্তমানকালে এই ধরনের প্রচুর পাঠ্যক্রম প্রাপ্তিসাধ্য৷
|
|
ভারতীয় ভাষার সাথে যুক্ত কর্পাস ভাষাতত্ত্ব এবং ভাষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষক এবং
ডেভেলপারদের কাজের সাহায্য স্বার্থে LDC-IL তৈরী করা হয়৷ভাষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণা
এবং উন্নয়ণের কাজে ভাষা সম্পর্কিত তথ্যই হল মূল উপাদান৷ভাষাতত্ত্ব সম্পর্কিত তথ্যের
সংগ্রহ, প্রসেসিং এবং টিকাকরণ কার্যের জন্য অন্যান্য শাখা যেমন ভাষাতত্ত্ব, পরিসংখ্যান,
যন্ত্রবিঞ্জান ইত্যাদির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে৷
তদ্বতিরিক্ত LDC-IL
|
|
»
|
পাঠবিষয়ক, বাচনবিষয়ক এবং শব্দনির্ভর কর্পোরা রূপে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় ভাষাতত্ত্বের
সংস্থান ভান্ডার তৈরী করবে৷
|
|
»
|
বিভিন্ন সংস্থানকে এই ধরনের তথ্যভান্ডার তৈরী করতে সাহায্য করবে৷
|
|
»
|
বিভিন্ন গবেষণা এবং উন্নয়ণমূলক কাজের জন্য তথ্য সংগ্রহ এবং ভাষিক কর্পোরার ভান্ডারের
মাপকাঠি নির্ধারণ করবে৷
|
|
»
|
তথ্য সংগ্রহ এবং পরিচালনার উণ্নয়ণ এবং যন্ত্রানুসঙ্গ গুলি পরষ্পর ভাগ করে নেওয়াতে সহায়তা
করবে৷
|
|
»
|
কর্মশালা, আলোচনাচক্র ইত্যাদির মাধ্যমে যান্ত্রিক এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয় প্রশিক্ষণে
সহায়তা করবে৷
|
|
»
|
LDC-IL -এর তথ্য ভান্ডার অভিগম্যতার জন্য LDC-IL ওয়েবসাইটটি তৈরী করবে এবং সেটিকে বজায়
রাখবে৷
|
|
»
|
সার্বজনিক ব্যবহারের জন্য যথাযথ ভাষা প্রযুক্তি তৈরীর কাজে সহায়তা করবে৷
|
|
»
|
শিক্ষণ সংস্থা, গবেষক এবং জনগণের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংযোগ স্থাপন করবে৷
|
|
এই কাজগুলি যেগুলি যান্ত্রিক অনুবাদের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে সেগুলি রাষ্ট্রীয় অনুবাদ
মিশনের কাজে সরাসরি উপযোগী৷
|
|
যান্ত্রিক অনুবাদ(MT) সিস্টেমগুলিরকার্যকরিতা নিয়ে যে স্বভাব সন্দিগ্ধ মানুষেরা দ্বিধা
প্রকাশ করেছেন তারা শুনে খুবই আশ্চর্য হবেন যে সারা পৃথিবীতে অনেক যান্ত্রিক অনুবাদ
সিস্টেম অনুবাদের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ উদাহরণস্পরূপ সিসট্রান (অল্টাভিস্টা সার্চ
ইঞ্জিন দ্বারা ব্যবহৃত)এবং মিটিও (METEO)(কানাডিয়ান আবহাওয়া দপ্তর দ্বারা ব্যবহৃত যেটি
১৯৭৭ সাল থেকে আবহাওয়া সমাচারে ৪৫,০০০ এর বেশি শব্দ অনুবাদ করে)৷ভারতে যান্ত্রিক অনুবাদের
কাজ প্রথমে সি-ড্যাকে (C-DAC) শুরু হয় যখন সেটি এনএলপি(Natural Language Processing)
নিয়ে কাজ শুরু করে এবং একটি ট্যাগ বেসড্ পার্সার (Tag-based Parser) তৈরী করে যেটি
হিন্দী, সংস্কৃত, গুজরাতি, ইংরাজি এবং জার্মান ভাষাকে বিশ্লেষণ করতে পারে৷এই প্রযুক্তিটি
তৈরী করার সময় সংস্থাটি প্রযুক্তিটির ব্যবহারকারিতার উপর দৃষ্টিপাত করে এবং বিভিন্ন
সংস্থানকে সেটি ব্যবহার করার জন্য অভিভাবন দেয়৷MT-ইর অপরিমেয় কার্যকরিতার কথা বুঝতে
পেরে ভারতীয় সরকারের প্রশাসনিক ভাষা বিভাগ, (DOL) এই ধরণের প্রকল্পগুলিকে সক্রিয়ভাবে
অনুদান করতে শুরু করে৷জনসংযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রালয় নিম্নলিখিত বিষয়গুলিকে নির্দিষ্ট
করেছে অনুবাদ সিস্টেম তৈরী করার জন্য:
|
|
»
|
সরকারের প্রশাসনিক কার্য-পরিচালনার প্রণালী;
|
|
»
|
আইনসভা সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর, ওষুধ প্রস্তুতি সংক্রান্ত তথ্য৷
|
|
»
|
আইন সংক্রান্ত পরিভাষা এবং সিদ্ধান্ত
|
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রালয় ভারতীয় ভাষাগুলিতে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে গবেষণায়
এবং উন্নয়নে সহায়তা এবং অনুদান করার জন্য ‘ভারতীয় ভাষা প্রযুক্তি ও উন্নয়ণ’(TDIL) নামে
একটি প্রকল্প ১৯৯০-৯১ সালে শুরু করে৷তথাপি, ২২টি বিভিন্ন সরকারি ভাষার ক্ষেত্রে অনুবাদ
করাটা একটা বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়৷যেহেতু ইংরাজি এবং হিন্দী-এই দুটি ভাষা সরকারি
দপ্তরে বেশি ব্যবহৃত হয় সেহেতু এই দুটি ভাষাকে MT-র জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র বলে
চিহ্ণিত করা হয়েছে৷
দুটি বিশিষ্ট গবেষণার ক্ষেত্র চিহ্ণত করা হয়েছে: বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার মধ্যে অনুবাদের
জন্য MT সিস্টেম ও ইংরাজি এবং হিন্দীর মধ্যে অনুবাদের জন্য MT সিস্টেম৷বর্তমানে তিনটি
সংস্থা- সি-ড্যাক পুনে, এনসিএসটি (যেটি এখন সি-ড্যাক মুম্বাই নামে পরিচিত), IIIT-হায়দ্রাবাদ
এবং IIT-কানপুর এই অসাধারণ প্রযুক্তিটির সাহায্য নিয়ে প্রায়োগিকী ক্ষেত্রে নেতৃত্বগ্রহণ
করেছে৷
ডির্পাটমেন্ট অফ ইলেকট্রনিক্স (DOE)-এর ঞ্জান ভিত্তিক কম্পুটার সিস্টেম প্রকল্পের অধীনে
সি-ড্যাক, ব্যাকার্তা (VYAKARTA) তৈরি করে যেটি ইংরাজি, হিন্দী, গুজরাতী এবং সংস্কৃত
ভাষাকে বিশ্লেষণ করতে পারে৷এটি একই বিশ্লেষণ সিস্টেমটির সাহায্যে মন্ত্র(MANTRA) (ইংরাজি
এবং হিন্দীতে সরকারী লেখা অনুবাদ করার জন্য যাণ্ত্রিক সহায়ক একটি অনুবাদ টুল) তৈরী
করে এবং প্রশাসনিক ভাষা বিভাগের সামনে প্রর্দশন করে৷এটি দেখার পরে প্রশাসনিক ভাষা বিভাগ
প্রশাসনিক কাজের জন্য ‘ইংরাজী-হিন্দী কম্পুউটার সহযোগী অনুবাদ সিস্টেম’ নামে একটি প্রকল্পের
অনুমোদন করে৷এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনিক কর্মীবৃন্দের সাহায্যর্থে একটি কম্পুটার
সহায়ক অনুবাদ সিস্টেম তৈরী করা এবং সেটিকে বাস্তবায়িত করা৷এই সিস্টেমটি এখন চিঠি এবং
বিভিন্ন ধরণের বিঞ্জপ্তি যেমন নিযুক্তি পত্র ও বদলি পত্র অনুবাদ করতে এবং ওর্য়াড প্রসেসিং
ও ডিটিপি প্যাকেজ থেকেও ইনপুট নিতে সক্ষম৷
ইংরাজি থেকে হিন্দী অনুবাদের সাফ্যলের পর, সি-ড্যাক এখন অন্যান্য ক্ষেত্রে এটি প্রসারিত
করতে এবং উন্নত প্রযুক্তিগুলিকে বহুভাষিক অনুবাদ কার্যে প্রয়োগ করতে চাইছে৷এই দক্ষতা,
যে কোনো ভাষাজোড়ের মধ্যে যান্ত্রিক অনুবাদ করতে সহায়তা করবে৷
MT-র ক্ষেত্রের সাথে জড়িত আরেকটি সংস্থান হল মুম্বাই এর এনসিএসটি, যেটি সি-ড্যাক মুম্বাই
নামে নামাঙ্কৃত হয়েছে৷যান্ত্রিক অনুবাদের কার্য ক্ষেত্রে এনসিএসটি -ই ভারতের প্রথম
সংস্থান৷আশি দশকের শেষের দিকে আমরা একটি আদিরূপ সিস্টেম, স্ক্রীন টক্ (Screen Talk),
তৈরী করেছিলাম PTI –এর বিভিন্ন বিষয়মূলক সংবাদ আলোচনা রূপে অনুবাদ করার জন্য৷তখন থেকেই
এটি MaTra নামক একটি সার্বজনীন প্রয়োজনানুগ কাঠামো ভিত্তিক সফট্ওয়ার তৈরী করে, হিন্দী
থেকে শুরু করে ইংরাজি এবং বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার মধ্যে অনুবাদের কার্যে ব্যবহার করার
জন্য৷অটোমেটিক মোডে এই সিস্টেমটি সব থেকে ভাল অনুবাদ করে যেটি পরে ব্যবহারকারী সম্পাদনা
করতে পারে৷ম্যানুয়াল মোডে, ব্যবহারকারী সিস্টেমটিকে একটি সঞ্জামূলক GUI এর সাহায্যে
সঠিক অনুবাদের পথে নিয়ণ্ত্রণ করতে পারে৷
এই প্রযুক্তিটি তৈরী করার জন্য IIT-মুম্বাই এবং IIT-কানপুর পথপ্রর্দশন করে অনুসারক(Anusaaraka),
অঙ্গলভারতী (Anglabharati), অনুভারতী (Anubharati) ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে৷বর্তমানে
এই সমস্যাটির সমাধানস্বার্থে সার্বজনীন নেটওয়ার্কিং ভাষার (UNL) মাধ্যমে একটি বেশ আধুনিকরুপের
গবেষণার কাজ IIT-মুম্বাইতে চলছে৷ অঙ্গলভারতীকে যাণ্ত্রিক অনুবাদের ক্ষেত্রে একটি বেশ
গুরুত্বপুর্ণ সিস্টেম বলে মানা হয়৷সিস্টেমটি জনস্বাস্থ্য অভিযানের ক্ষেত্রে ইংরাজি
থেকে হিন্দীতে অনুবাদ করার একটি বিশেষ যান্ত্রিক সহায়ক অনুবাদ প্রণালী৷
যখন চলতি প্রকল্পগুলি তাদের কর্মশক্তিকে ইংরাজি থেকে হিন্দীতে যান্ত্রিক অনুবাদের কাজে
কেন্দ্রীভূত করেছে তখন সেটিকে অন্যভাষার ক্ষেত্রে প্রসারিত করা একটি প্রতিদ্বন্ধীতামূলক
কাজ৷ অনুসারক প্রকল্প IIT-কানপুর দ্বারা শুরু করা হয়েছিল এবং IIIT-হায়দ্রাবাদ এবং CALTS,হায়দ্রাবাদ
বিশ্ববিদ্যালয দ্বারা যুগ্মভাবে উন্নত করা হয়েছিল৷ এই প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছিল একটি
ভারতীয় ভাষা অন্য একটি ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করার উদ্দেশ্য নিয়ে৷ অনুসারক এমন একটি সফট্ওয়ার
যেটি একটি ভারতীয় ভাষা থেকে টেকস্ট্ অন্য একটি ভারতীয় ভাষায় রূপান্তরীত করতে পারে৷এটি
যে আউটপুটটি দেয় সেটি যথাযথভাবে ব্যাকরণ সম্মত না হলেও পাঠক তা বুঝতে পারেন৷উদাহরণ
স্বরূপ- বাংলা থেকে হিন্দী অনুসারক একটি বাংলা টেকস্ট্ নিয়ে সেটির হিন্দী আউটপুট দিতে
পারে যেটি ব্যবহারী বুঝতে,কিন্তু সেটি ব্যাকরণগতভাবে সঠিক হয় না৷সমভাবে একটি ব্যক্তি
যিনি এমন একটি সাইট প্রবেশ করেছেন যেটির ভাষা তাঁর জানা নেই তিনিও অনুসারক -র সাহায্য
নিয়ে টেকস্টটি পড়তে পারেন৷ অনুসারক তেলেগু, কান্নাডা, বাংলা, মারাঠি এবং পান্ঞ্জাবী
থেকে হিন্দীতে অনুবাদ করার জন্য তৈরী করা হয়েছে৷তৈরী করা সফট্ওয়ারটি ওপেন সোর্স সফট্ওয়ার
হিসাবে প্রাপ্তিসাধ্য হবে৷IIIT-হায়দ্রাবাদ শক্তি (SHAKTI) নামে আরেকটি অনুবাদ সহায়ক
সিস্টেম তৈরী করেছে৷
উল্লেখযোগ্য যে এই ক্ষেত্রে এখনও প্রচুর কাজ বাকি এবং গবেষকেরা, বিশ্ববিদ্যালয়/IIT-গুলি,
সফট্ওয়ার ইন্দাস্ট্রীগুলি যারা এই ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত,তাদের NTM-এর সাহায্যের প্রয়োজন৷
|
|
|